Sunday, May 31, 2015

ঢাকায় অপেক্ষাকৃত একটি দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মাথায় ভারত তার সকল স্বপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছে, এটা ইতিপূর্বে কোনও দিন করতে পারেনি। সুতরাং মোদি কি? জয়...! মোদি কি? জয়...!!

ভারত এত ভালো কেন?

শাখাওয়াৎ নয়ন॥

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নাকি ইতিহাসের অন্যতম একটি মহেন্দ্রক্ষণ যাপন করছে(!)। সংবাদ পরিবেশক, বিশ্লেষক, টকশোজীবী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ প্রায় সব মহলে স্তুতির বন্যা বইছে। তাদের পক্ষে যুক্তি অনেক। এরমধ্যে প্রধান যুক্তিগুলো হলো-  (১) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত সমস্যার সুরাহা (২) বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'তারা নাকি কোনও দিন ভারতবিরোধী রাজনীতি করেনি এবং করবেও না' (৩) জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মীয় রাজনৈতিক দল, উপদলের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের ভারত-বিদ্বেষ প্রকাশ না করা (৪) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার অকল্পনীয় পরিবর্তন (৫) জনশ্রুতি আছে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা (৬) সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়া এবং (৭) বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা।  

এছাড়া আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। সেগুলো অবশ্যই আমার আলোচ্য বিষয় নয়। আমার প্রশ্ন এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে- (১) হঠাৎ করে বাংলাদেশের জন্য ভারত এত ভালো হয়ে গেল কেন? (২) দীর্ঘ ৪৪ বছর পর সীমান্তে ছিটমহল সমস্যা সমাধানে ভারতীয় সরকার এবং বিরোধীদলগুলো এত আন্তরিক হয়ে গেল কেন? (৩) ভারত বাংলাদেশকে প্রায় দ্বিগুণের বেশি পরিমাণ ভূমি ছেড়ে দিয়ে লোকসভায় বিল পাস করল কেন? (৪) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বা কেন বিনাযুদ্ধেই মেদেনী (ছিটমহল) ছেড়ে দিলেন? কেনইবা তিনি আজকাল তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন? (৫) বিএনপি এবং  ধর্মনির্ভর দলগুলো কেনইবা হঠাৎ করে ভারতের প্রতি এত নমনীয় হয়ে গেল? তাদের সারা জীবনের ভারত বিদ্বেষ এখন কোথায় হারিয়ে গেল? কী এমন ঘটনা ঘটল যে, সব কিছুতেই হঠাৎ করে রাতারাতি গণেশ উল্টে গেল?

ঢাকায় অপেক্ষাকৃত একটি দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মাথায় ভারত তার সকল স্বপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছে, এটা ইতিপূর্বে কোনও দিন করতে পারেনি। সুতরাং মোদি কি? জয়...! মোদি কি? জয়...!!       

উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর অনেক ধরনের উত্তর থাকতে পারে। কিংবা অনেক ভাবে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। আমার তো মনে হয়, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাসের একটি ক্রান্তিকালের কাছে এসে উপনীত হয়েছে। কারণ, এই প্রথম আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ভারতকে সব কিছু দিয়ে দেওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া। ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে পরে আসছি।

ভারত আসলে হঠাৎ করে বাংলাদেশের জন্য এত ভালো হয়ে যায়নি। একটু খোলাসা করে বলি, ভারত একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। যেটা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য এক সময় হুমকিস্বরূপ হয়ে যেতে পারে। একথা এখন ওপেন সিক্রেট, শুধু ভারতের সমর্থনের কারণেই আওয়ামী লীগ ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মতো একটা তামাশা করে এখনও ক্ষমতায় টিকে আছে। তাই টি-স্টল পার্লামেন্টে সবাই একমত- জনগণ নয়, ভারতই এখন ক্ষমতার উৎস। তারাই বাংলাদেশের গদির মালিকানা নির্ধারণ করেন। প্রশ্ন হচ্ছে- ভারত কেনইবা আওয়ামী লীগকে এই ধরনের সমর্থন দিল? কারণটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়; ভারতের ওপর নির্ভরশীল একটি সরকার ছাড়া তাদের সকল চাওয়া পূরণ হবে কিভাবে? তাই তারা প্রথমেই ঢাকায় একটি দুর্বল সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। একইসঙ্গে বিরোধীদলকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার আর কোনও উপায় নেই। ফুলে-ফলে বিএনপি এখন 'মোদি' নাম জপতে শুরু করেছে।

ঢাকায় অপেক্ষাকৃত একটি দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মাথায় ভারত তার সকল স্বপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছে, এটা ইতিপূর্বে কোনও দিন করতে পারেনি। সুতরাং মোদি কি? জয়...! মোদি কি? জয়...!!       

এবার আসি স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রসঙ্গে। এই চুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজেদের মাঠে নিজেদের লোকজন ডেকে অপ্রতিনিধীত্বশীল কতিপয় ব্যক্তিবর্গ 'দেশরত্ন' উপাধী দিয়েছেন। উক্ত উপাধি প্রদানকারীদের  মনে এবং শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শঙ্কা থাকায়, প্রদত্ত খেতাব রাষ্ট্রের সকলকে ব্যবহার করতে কিংবা মেনে নিতে বাধ্য করার চিন্তা করছে। খবরে প্রকাশ এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ নাকি অনেক বেশি পরিমাণে ভূমি কিংবা ছিটমহল পেয়েছে, কিন্তু কার্যত একদিন ঘটনা উল্টে যেতে পারে। পর্দার আড়ালে হয়তো ভারত পুরো বাংলাদেশকেই তাদের একটা ছিটমহল বানানোর কৌশল গ্রহণ করছে। এটা কি সংশ্লিষ্টরা একবারও ভেবে দেখেছেন? সুতরাং এই স্থল সীমান্ত চুক্তির তখন কীইবা মূল্য থাকবে? ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যোগসাজশে ট্রানজিটের কথাটি গোপন করে ভারত নানাভাবে ট্রানজিটেরই সকল কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করছে- (১) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মংলা পোর্ট ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে; তার মানে কী দাঁড়ালো? নৌ-ট্রানজিট নিয়েছে অথবা বাংলাদেশ তাদের ইতোমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ঢাকা-কলকাতা বাস, ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেছে; শিলং, গৌহাটিতেও বাস যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে; এখন বাকি আছে কী? এখন বাকি আছে ট্রানজিটের ভিন্ন নামে ট্রান্সশিপমেন্ট নামে একটি চুক্তি করা। এই ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে কী ধরনের মালামাল কিংবা পরিবহণ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে আগরতলা হয়ে ভারতের সেভেন-সিস্টারখ্যাত অঙ্গরাজ্যগুলোয় যাবে? তা জানতে আর হয়তো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের লোভ দেখানো হচ্ছে- ভারত থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে চীন পর্যন্ত এক বিশাল সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে, তাতে সকলেই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এই প্রসঙ্গে প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে- আমাদের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কার্লভার্টের কী অবস্থা? ভারতের অতিকায় সাইজের ট্রাকের ধারণক্ষমতা কি আমাদের রাস্তার কিংবা ব্রিজগুলোর আছে? এখানে সম্ভাব্য উত্তর হচ্ছে- সেই জন্যই তো নরেন্দ্র মোদি এসে একটা বড় সাইজের লোন দেবেন। সেই টাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। তাহলে ট্রান্সশিপমেন্ট শুধু বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হবে কেন? ভারত, পাকিস্তানের ওপর দিয়ে ইরান পর্যন্ত হোক। দেখি তখন ভারত তার নিজের দেশকে পাকিস্তানের জন্য ব্যবহার করতে দেয় কি না? গুজরাট, মুম্বাই কিংবা কলকাতা নৌ-বন্দর পাকিস্তানকে ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয় কি না? তখন তারা বলবে, এটা তাদের সার্বভৌমত্বের ইস্যু; তাহলে বাংলাদেশের জন্য কি এসব সার্বভৌমত্বের ইস্যু নয়?  

ট্রানজিটের পক্ষে অনেকে অনেক যুক্তি দিয়ে থাকেন। অনেকে ইউরোপের সীমান্তরক্ষীবিহীন দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে থাকেন। তাদের ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক এক রকম নয়। যেখানে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ-বিগ্রহ, হত্যা, চোরাচালান, পুশইন, পুশব্যাকের মতো সমস্যা নিয়মিতভাবেই লেগে আছে। সেখানে অবাধ চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহণ কারও কারও জন্য সার্বভৌমত্বের ইস্যু হতেই পারে।  

আপনারা যারা ভাবছেন, আমি একজন কট্টর ভারতবিরোধী মানুষ, প্লিজ, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিন। আমি একজন কট্টর দেশপ্রেমিক; ভারতের বিরোধিতা করছি আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে। এক্ষেত্রে ছাড় দেব কিভাবে? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; একদিন এমন হবে না তো? আমার সন্তান আবার মুক্তিযুদ্ধ করবে ভারতের বিরুদ্ধে? আমার এই শঙ্কার পেছনে অনেক কারণ আছে, ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সাম্রাজ্যবাদী দেশ, এই দেশটির সঙ্গে যেকোনও ধরনের সম্পর্ক বহুভাবে চিন্তা করার অবকাশ থাকে। এ অঞ্চলে একমাত্র ভারতই প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য সার্বভৌমত্বের হুমকি হয়ে আবির্ভুত হয়েছে। কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাক, সিকিম নামক একটি দেশ ছিল, আজ আর তা নেই। ভারত সিকিমকে গিলে ফেলেছে। ভুটান থেকেও নেই। মালদ্বীপকে ভারত তার একটি করোদ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাদের কোনও সেনাবাহিনী রাখতে দেয়নি। শুধু পুলিশ, সেই পুলিশই মালদ্বীপে ভারতের ইন্দনে সামরিক ক্যু সংঘটিত করে। আমরা জানি, নেপালের কোনও সামুদ্রিক বন্দর নেই, তাই তারা ভারতের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল; একবার দিল্লি সরকারের আজ্ঞা পালনে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটলে, নেপালের আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। তারপরে নেপালের আর কোনও সরকার দিল্লির সঙ্গে কোনওদিন বেয়াদবি করেনি। সম্প্রতি নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের কথা কে না জনে? কিন্তু একটি খবর হয়তো সকলের নজরে আসেনি; নেপালের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণ-চিকিৎসা এবং উদ্ধারকার্যে ছুটে আসা বিদেশিদের তার দেশ থেকে চলে যেতে বলেছে। ঘটনাটি কি বিস্ময়কর নয়? সাহায্য করতে আসা মানুষকে কোনও দেশ এইভাবে চলে যেতে বলে? বিষয়টি নজিরবিহীন নয়? না, নজিরবিহীন নয়। একটু মনে করার চেষ্টা করুন; ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের প্রায় এক লাখ লোক মারা গিয়েছিল; ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকান নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টার নিয়ে সাহায্যের জন্য ছুটে এসেছিল। বিভিন্ন দেশ সাহায্য দিতে চাইল। কিন্তু দিল্লি সরকারের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। এসব তাদের পছন্দ হলো না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন চন্দ্র শেখর। তিনি হঠাৎ করে এক ঘণ্টার জন্য ঢাকায় আসলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তখন  খালেদা জিয়া। তিনি আদিষ্ট হয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টে গিয়েই চন্দ্র শেখরের সঙ্গে দেখা করলেন। চন্দ্র শেখর সাফ-সাফ বলে দিলেন, 'বাংলাদেশের যত সাহায্য লাগবে, ভারত তা করতে প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশের অন্য কোনও দেশ থেকে সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই।' আমার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের সাহায্য প্রয়োজন আছে কি নেই; সেটা তুমি বলার কে, চন্দ্র শেখর? নেপাল থেকে বিদেশিদের চলে যেতে বলার ঘটনাটি বাংলাদেশের ঘটনার সঙ্গে কেমন জানি মিলে যাচ্ছে, তাই না?

গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে, তিস্তায় বাঁধ দিয়ে, টিপাইমুখে পানি আটকে রেখে বাংলাদেশের বারোটা বাজানোর ঘটনাগুলো এত সহজে অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল? আজকাল এত বড় বড় ইস্যু নিয়ে কেউ কিছু বলছে না কেন?  

আমরা কি সবাই ভুলে গেছি? আমাদের কি কারও কিছুই মনে নেই? গড়ে প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় বিএসএফরা গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যা করত; অসহায় দরিদ্র তরুণী ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনা কারও ডিমেনশিয়া (স্মৃতিবিভ্রাট সংক্রান্ত রোগ) না হলে তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। বিএসএফ কতৃক বাংলাদেশিদের গরু ছাগল নিয়ে যাওয়ার ঘটনা তো কোনও খবরের মর্যাদাই পেত না। বাংলাদেশের অদূরে সীমান্তের ওপারে ভারতীয়রা ফেন্সিডিলের কারখানা বানিয়ে বাংলাদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার ঘটনা কে না জানত? গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে, তিস্তায় বাঁধ দিয়ে, টিপাইমুখে পানি আটকে রেখে বাংলাদেশের বারোটা বাজানোর ঘটনাগুলো এত সহজে অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল? আজকাল এত বড় বড় ইস্যু নিয়ে কেউ কিছু বলছে না কেন?  

কেন জানি বাংলা সিনেমার ফালতু কাহিনির মতো কোনও একটা দুর্ঘটনায় আমাদের পুরো জাতির স্মৃতিবিভ্রাট হয়ে গেছে। তাই কারও কিছুই মনে পড়ছে না। সবাই মিলে মোদিস্তুতিবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ এই নরেন্দ্র মোদিই গুজরাট দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলিম হত্যার অভিযোগে প্রধানতম আসামি ছিলেন। ভারতীয় আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলেও, ভারতের প্রত্যেক মুসলমানই জানে মোদি কী জিনিস(!) ? 

লেখক: কথাসাহিত্যিক, একাডেমিক, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর।  

ইমেইলঃ nayonshakhawat@yahoo.com    

http://www.banglatribune.com/news/show/99920

__._,_.___

No comments:

Post a Comment