Tuesday, January 13, 2015

ছাত্রদের বিজয় মিছিলে কিন্তু আগামী লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি। আগমনীর সুরমুর্ছনার জন্য কান পেতে রইলাম। পাশে ছিলাম,পাশে আছি,পাশে থাকব যাদবপুর। পলাশ বিশ্বাস

ছাত্রদের বিজয় মিছিলে কিন্তু আগামী লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি।

আগমনীর সুরমুর্ছনার জন্য কান পেতে রইলাম।

পাশে ছিলাম,পাশে আছি,পাশে থাকব যাদবপুর।

পলাশ বিশ্বাস


https://www.facebook.com/video.php?v=864053206978585&set=vb.752885661428674&type=2&theater

#hokkolorab বিজয় মিছিল


https://www.youtube.com/watch?v=ro4NfpUnhYQ


হোক কলরবের বিজয় মিছিলে জয়গান নাচ-গান-স্লোগান, মিষ্টিমুখে



মীডিয়ার খবর, আরও একবার তারুণ্যের উচ্ছ্বাস কলকাতার রাজপেথ। আরও একবার রাজপথে হলো কলরব। আবারও সেই যাদবপুর।

ছাত্রদের বিজয় মিছিলে কিন্তু আগামী লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি।আগমনীর সুরমুর্ছনার জন্য কান পেতে রইলাম।

পাশে আছি,পাশে থাকব যাদবপুর।

মুকুল ঝরল বসন্তবিলাপের মত,জেদী দিদি চলে এলেন ছাত্রদের মধ্যিখানে,যাদের পিটিয়ে নন্দীগ্রাম রবীন্দ্রসরোবর করল সেপ্টেম্বরের সেই অভিশপ্ত দিনে দিদিরই পুলিশ।বিদায়ী উপাচার্যত সব দায় ঘাড় থেকে সরাসরি ফেলে দিয়ে বলে দিলেন সরকারকে জানানো হয়েছিল।বললেন তিনি,পুলুশ পুলিশের কাজ করেছে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন।

তাহলে এই দাযকার ঘাড়ে বর্তায় জানতে ইছ্ছা করে।

বিদায়ী উপাচার্য বলেছেন,তিনি ইস্তীফা দিতে বাধ্য হলেন,তাই কালো দিন।তিনি শোনেন নি,দেখেননি,ছাত্রদের লাঠিপেটা করে হয়েছিল সেই দিন।তিনি শোনেন নি দেখেন নি,ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি হয়েছিল সেদিন।

তিনি বলে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেশার ঠেক সরাতে চেয়েছিলেন।নেশাগ্রস্ত ছাত্ররা আন্দোলন করলেন ও জিতলেনও।অথচ মুখ্যমন্ত্রী সেই ছাত্রদের জয়ের কৃতিত্বও দিয়ে দিলেন।

উপাচার্যের পদ থেকে সরছেন অভিজিত্‍ চক্রবর্তী। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী একথা ঘোষণার পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা। আন্দোলনে জয়ের পর আজ ছিল বিজয় মিছিল।

তার আগে সকাল থেকেই উত্‍সবের মেজাজ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। ছিল একে অপরকে রঙীন করার পালা। চলেছে মিষ্টিমুখের পালাও। বেলা চারটের কিছু আগে আজ ফের পথে নামে যাদবপুর। ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে হাজার ছাত্রছাত্রী দখল নেন রাজপথের। নাচ-গান-স্লোগানে সোচ্চার ছিল মিছিল। মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন অভিভাবকরাও। শেষ হল একটা পর্বের। আগামী শনিবার নন্দন থেকে রাজভবন মিছিলের ডাক দিয়েছে যাদবপুর।

গীতশ্রীর এই ছবি সোনা হয়ে আছে মনে মনে।উপাচার্যের বক্তব্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে,সম্মানহানি হয়েছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীরও।

বিশ্বাস করি হোক কলরব আজও অরাজনৈতিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোজা শিরদাঁড়ার প্রতিবাদ,প্রতিরোধ।

সংবাদে প্রকাশ,প্রতিবাদী ছাত্রদের নিশানায় রেখেই সাংবাদিক সম্মেলনে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিত্‍ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক, অ্যালকোহলের রমরমা বলে আন্দোলনকে কটাক্ষ করেন বিদায়ী উপাচার্য।

সাংবাদিক সম্মেলনে রীতিমত আক্রমণাত্মক ঢঙেই কথা বললেন বিদায়ী উপাচার্য। বললেন, ''রাজনৈতিক আন্দোলনের শিকার হলাম। আমায় অগণতান্ত্রিক আন্দোলনে চলে যেতে হল।''চার মাস পরে ইস্তফা দিলেন কেন? প্রশ্নের জবাবে ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ বলে এড়িয়ে গেলেন। সঙ্গে বললেন, ''কোনও রাজনৈতিক চাপে ইস্তফা দিইনি।''বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে স্থিতাবস্থা ফেরাতে পারিনি বলেও স্বীকার করে নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার শৃঙ্খলা ফেরানোর প্রসঙ্গের কথাও তোলেন। রাজ্যপালের কাছেই পদত্যাগপত্র দেবেন বলে জানালেন বিদায়ী উপাচার্য।

এদিকে, শুরু হয়ে গেল যাদবপুরের বিজয় মিছিল। মিছিলে পা মিলিয়েছেন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। উপাচার্যের ইস্তফা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘ চার মাস লড়াইয়ের পর জয় হয়েছে আন্দোলনের। সকাল থেকেই উত্‍সবের মেজাজ ছিল যাদবপুরে। ক্যাম্পাসজুড়ে  চলেছে হোলি খেলা। একে অপরকে রঙে রঙীন করে তুলছেন ছাত্রছাত্রীরা। চলেছে মিষ্টিমুখের পালাও। আজকের মিছিল  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে যাবে গোলপার্ক পর্যন্ত।



আমি কোন রাজনৈতিক চাপে পদত্যাগ করি নি, আমি রাজনীতি করিনা, আমি ভারতবর্ষের সংবিধান মেনে চলি - সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎ চক্রবর্তী।    আপনি স্যার, রাজনীতি করেন না কিন্ত শহীদ দিবসের মঞ্চে থাকেন।    আপনি স্যার, সংবিধান মেনে চলেন তাই রাতের অন্ধকারে পুলিশ ঢুকিয়ে ছাত্র পেটান (দিনের বেলা পুলিশ কি ঘুমায়)।    আপনি স্যার, সংবিধান মেনে চলেন তাই প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রী সুমন্তিকার শোচনীয় মৃত্যুর পর মন্তব্য করেন যে নেশা করে তার মৃত্যু হয়েছে (পরবর্তী সময়ে পুলিসি তদন্তে প্রমাণিত যে গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস লাইনের থেকে লিক করা গ্যাস তার মৃত্যুর কারন)    আপনার এই সম্মেলনের পরে ময়দানের কটা ঘোড়া হাসতে হাসতে মারা গেছে তা জানি না তবেঃ

শ্রীতোষ বহিরাগত বন্দ্যোপাধ্যায় with Souvik Mondal Sidhu and 9 others

আমি কোন রাজনৈতিক চাপে পদত্যাগ করি নি, আমি রাজনীতি করিনা, আমি ভারতবর্ষের সংবিধান মেনে চলি - সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎ চক্রবর্তী।

আপনি স্যার, রাজনীতি করেন না কিন্ত শহীদ দিবসের মঞ্চে থাকেন।

আপনি স্যার, সংবিধান মেনে চলেন তাই রাতের অন্ধকারে পুলিশ ঢুকিয়ে ছাত্র পেটান (দিনের বেলা পুলিশ কি ঘুমায়)।

আপনি স্যার, সংবিধান মেনে চলেন তাই প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রী সুমন্তিকার শোচনীয় মৃত্যুর পর মন্তব্য করেন যে নেশা করে তার মৃত্যু হয়েছে (পরবর্তী সময়ে পুলিসি তদন্তে প্রমাণিত যে গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস লাইনের থেকে লিক করা গ্যাস তার মৃত্যুর কারন)

আপনার এই সম্মেলনের পরে ময়দানের কটা ঘোড়া হাসতে হাসতে মারা গেছে তা জানি না তবেঃ



নীলাঞ্জনা সান্যাল লিখেছেন আজকালেঃ




শেষ পর্যম্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী ইস্তফা দিলেন৷‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এই ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন৷‌ এর ফলে অবসান হল দীর্ঘ চার মাসের আন্দোলন৷‌ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা৷‌ শুরু হয়ে যায় আবির খেলা, স্লোগান, মিষ্টিমুখ এবং মিছিল৷‌ উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে গত চার মাস ধরে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকরা যে-আন্দোলন করেছেন, তা রাজ্যের শিক্ষামহলে বিপুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল৷‌ আন্দোলনের কথা বাংলা এবং দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রাম্তে পৌঁছে গিয়েছিল৷‌ নৈতিক সমর্থন এসেছে বহু স্তর থেকে৷‌ তৃণমূল ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলই পড়ুয়াদের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিল৷‌ ধাপে ধাপে আন্দোলনকে ছাত্রছাত্রীরা তীব্র করেছেন৷‌ কিন্তু কখনই হিংসার পথ নেননি৷‌ বহুদিন পরে এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা প্রমাণ করলেন, মিলিতভাবে সঠিক পথে আন্দোলন করতে পারলে সাফল্য আসা অসম্ভব নয়৷‌ মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সন্ধেবেলা অনশনকারীদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে আমি উদ্যোগ নিয়েছি৷‌ চার মাস ধরে যে অচলাবস্হা চলছে তার অবসান ঘটুক৷‌ উপাচার্য নিজেই ইস্তফা দিতে চেয়েছেন৷‌ অন্য দিকে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, সরকার এই সিদ্ধাম্ত নিতে বাধ্য হয়েছে৷‌ এটা আন্দোলনের জয়৷‌ আন্দোলনের ফলেই মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন৷‌ কোনও নেতা-নেত্রী এবং রাজনৈতিক দল ছাড়া আন্দোলন করে যাদবপুর 'দেখিয়ে দিল'৷‌ এদিন বিধাননগরে তাঁর বাড়িতেই ছিলেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী৷‌ ইস্তফা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি৷‌ আজ, মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গেছে৷‌ গত সোমবার থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷‌ শনিবার শিবম ঘোষ ও অভীক ঘোষ নামে দু'জন অনশনকারীকে হাসপাতালে দেখতেও যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি৷‌ এদিন ফের দু'জন অসুস্হ হয়ে পড়েন৷‌ তার মধ্যে পায়েল সরকার নামে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সুশীল মান্ডি নামে এক পড়ুয়া হাসপাতালে যেতে অস্বীকার করায় অনশন মঞ্চেই তাঁকে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্হা করা হয়৷‌ সুমিত কাঞ্জিলাল নামে এক পড়ুয়ার শরীরে জন্ডিস ধরা পড়ে৷‌ তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় অনশন মঞ্চ ছাড়েননি তিনিও৷‌ অনশনকারী পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্হার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় চাপ বাড়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর৷‌ তার ওপর এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে অনশনকারী পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরাও প্রতীকী অনশন শুরু করেন৷‌ সেভ ডেমোক্রেসি ফোরামের পক্ষ থেকে আসেন অসীম চ্যাটার্জি, বিকাশ ভট্টাচার্য, সুনন্দ সান্যাল, আবদুল মান্নান, নির্বেদ রায়রা৷‌ রবিবার শিক্ষামন্ত্রী সোমবার ক্যাম্পাসে আসার কথা জানিয়েছিলেন৷‌ সেইমতো এদিন বিকেল পাঁচটা পনেরো-কুড়ি নাগাদ যাদবপুরে আসেন তিনি৷‌ অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন৷‌ এবং অনশনকারীদের সঙ্গে একটি ঘরে আলোচনায় বসেন৷‌ সঙ্গে ছিলেন রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ৷‌ হঠাৎই ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে পড়ুয়াদের অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী৷‌ মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে দেখে প্রথমে আন্দোলনকারীরা একটু অবাক হলেও, স্লোগান ওঠে 'গড়ে তোলো ব্যারিকেড'৷‌ যেখানে শিক্ষামন্ত্রী পড়ুয়াদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী সেই ঘরে সটান চলে যান৷‌ মিনিট পঁয়তাল্লিশ পর বেরিয়ে এসে অনশন মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি উপাচার্যের ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন৷‌ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার ছাত্রছাত্রীরা এখানে অনশন করছে৷‌ তাদের শরীর ক্রমশ খারাপ হচ্ছে৷‌ কেউ আমাকে আসতে বলেনি৷‌ আমার মন আমাকে ডেকে নিয়ে এসেছে৷‌ বিবেকের ডাকে আমি এসেছি৷‌ ছাত্ররা আমাকে আগে ডাকলে আমি খুশি হতাম৷‌ যাদবপুরের একটা নিজস্ব গর্ব আছে৷‌ তাই আমি একটা উদ্যোগ নিলাম ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে৷‌ যাদবপুর যাতে সচল হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ৷‌ এই প্রথম আমি উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা বললাম৷‌ তিনি চান এই অচলাবস্হা কেটে যাক৷‌ তাই তিনি জানিয়েছেন তিনি নিজেই ইস্তফা দেবেন৷‌ তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে এস এম এস করে এই সিদ্ধাম্তের কথা জানিয়েছেন৷‌ সরকারের পক্ষ থেকে আচার্যকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে৷‌ এর পর শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যের পাঠানো এস এম এসটি পড়ে শোনান৷‌ তাতে উপাচার্য জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্হা কাটাতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই তিনি ইস্তফা দিতে চান৷‌ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরপরই উল্লাসে মেতে ওঠেন পড়ুয়ারা৷‌ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী রেজিস্ট্রারের ফোন থেকে উপাচার্যকে ফোন করেন৷‌ এবং তিনি, শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যের মধ্যে ওই ঘরের লাগোয়া একটি ঘরে একাম্তে আলোচনা হয়৷‌ তার পরই বেরিয়ে সিদ্ধাম্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷‌ তার আগে শিক্ষামন্ত্রী পড়ুয়াদের কাছে আরও ৭ দিন সময় চেয়েছিলেন৷‌ পড়ুয়াদের তিনি বলেন, আচার্য শহরের বাইরে৷‌ আর উপাচার্যকে সরকারের পক্ষে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়৷‌ সরানোর একটা প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে৷‌ কিন্তু উপাচার্য নিজে ইস্তফা না দিলে তাঁকে সরানো যাবে না৷‌ রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব সহ-উপাচার্যের ওপরই বর্তায়৷‌ কিন্তু এ ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা দপ্তরই সিদ্ধাম্ত নেবে৷‌ কারণ এর আগে উপাচার্য প্রদীপনারায়ণ ঘোষ অবসর নিলে এবং শৌভিক ভট্টাচার্য পদত্যাগ করলে সহ-উপাচার্যকে দায়িত্ব না দিয়ে অস্হায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছিল৷‌ উপাচার্যের ইস্তফা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে চিরঞ্জিত ঘোষ বলেন, কোনও নেতা-নেত্রীর সাহায্য ছাড়াও যে আন্দোলন করা যায় আজ যাদবপুর তা দেখিয়ে দিল৷‌ আন্দোলনের নৈতিকতা ও যৌক্তিকতা থাকলে অধিকারের জয় যে হয় আজ সেটা প্রমাণিত হল৷‌ রাজ্যের ছাত্র আন্দোলনে এই দিনটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে গনিত হবে৷‌ ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাদবপুরে শুরু হয় আন্দোলন৷‌ ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ঘেরাও তুলতে নিজের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা জানিয়ে পুলিসকে ক্যাম্পাসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য৷‌ অভিযোগ, আলো নিভিয়ে পড়ুয়াদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিস৷‌ এই ঘটনার পরই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় পড়ুয়াদের আন্দোলন 'হোক কলরব'৷‌ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানায় শিক্ষক সংগঠন জুটাও৷‌ কলা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়ারা গণভোটের আয়োজন করেন৷‌ সেখানে ৯৭ শতাংশ পড়ুয়াই রায় দেন, উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে৷‌ 'হোক কলরব'-এর ঢেউ পৌঁছয় সমাবর্তন মঞ্চেও৷‌ আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে পদক ও শংসাপত্র নিতে অস্বীকার করেন পড়ুয়ারা৷‌ বারবার তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি৷‌ কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে ৫ জানুয়ারি থেকে ক্যাম্পাসে অরবিন্দ ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷‌ অনশনরত অবস্হাতেই ৯ জানুয়ারি বিকাশ ভবনে যাদবপুরের অচলাবস্হা কাটাতে ডাকা শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেন পড়ুয়ারা৷‌ ওই বৈঠকে উপাচার্য ও শিক্ষক সংগঠন জুটার প্রতিনিধিরাও যোগ দেন৷‌ ওই দিনই শিক্ষামন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যাদবপুরের অচলাবস্হা কাটাতে খুব শিগগিরই সরকারি তরফে সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে৷‌ তবে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্হা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হল, যদি করলেনই আরও আগে কেন নয়, কেন ১৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর কোনও দিক বিবেচনা না করে অভিজিৎবাবুকেই স্হায়ী উপাচার্য করা হয়, ইত্যাদি নানা প্রশ্ন তুলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অংশ৷‌ এ নিয়ে জুটার সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্ত বলেন, সিদ্ধাম্তগ্রহণকারী সংস্হাগুলিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকলে, ক্যাম্পাসে আরও একটু গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে এই পরিস্হিতিই তৈরি হত না৷‌ তবে ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে যাদবপুরের উপাচার্যকে সরতে হওয়ায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের আন্দোলনের প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে৷‌ এদিন পশ্চিমবঙ্গে বি জে পি-র পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, মমতা ব্যানার্জি একটু দেরিতে হলেও তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন৷‌ ভুল আগেই শোধরানো উচিত ছিল৷‌ কারণ যুব শক্তির কাছে কোনও বাধাই বাধা নয়৷‌ এই প্রসঙ্গে এস এফ আইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাস বলেন, পড়ুয়াদের অনমনীয় মনোভাবের কাছে পরাস্ত হয়ে সরকার এই সিদ্ধাম্ত নিতে বাধ্য হয়েছে৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে এস এফ আই নেত্রী গীতশ্রী সরকার পদক প্রত্যাখ্যান করলে অজস্র কটূক্তি শুনতে হয়েছিল৷‌ ছাত্রদের আন্দোলনকেও কটাক্ষ করে পাল্টা মিছিল করেছিল শাসক দল৷‌ মতাদর্শ, দৃষ্টিভঙ্গির ঊধের্ব উঠে যে-সব ছাত্রছাত্রী লাগাতার ঐক্যবদ্ধ থেকেছেন, এটা তাঁদের জয়৷‌ এখন এস এফ আইয়ের দাবি হল, রাতের অন্ধকারে পুলিসের লাঠিচার্জ আর ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরকারকে পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ তদম্ত করতে হবে৷‌

http://www.aajkaal.net/13-01-2015/news/236453/


THREE CHEERS FOR JADAVPUR.

LATHIR MUKHE GANER SHUR.DEKHIE DILO JADAVPUR.

ABOUT FOUR MONTHS IS STILL A LONG TIME. STILL A DESERVED JUSTICE.

Hokkolorob's photo.









No comments:

Post a Comment